ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক স্কুল শিক্ষিকার পরিবারের উপর হামলা হয়েছে। এঘটনায় স্কুল শিক্ষিকার স্বামী নূর হোসেন বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পারিবারিক ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের চরহোসেনপুর গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে মুহাইমিনুল ইসলাম শামিম (৩৬) হাদিস মিয়া (৩৩) আলম মিয়া (২২) ও মৃত ছফির উদ্দিনের ছেলে আলাল উদ্দিনের সাথে স্কুল শিক্ষিকার স্বামী নূর হোসেনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরে ২৭মে শুক্রবার বিকালে বাদীর জয়বাংলা মোড়ে অবস্থিত সোনার মদিনা ফার্নিচার ডোর এন্ড গ্যালারী দোকানে হামলা চালিয়ে স্কুল শিক্ষিকার স্বামী নূর হোসেনকে দোকান থেকে বের করে দেয়।

পরে নূর হোসেনের ডাক চিৎকারে স্কুল শিক্ষিকা ও তার মেয়ে এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ তাদেরকে মারধর করে আহত করে। এতে স্কুল শিক্ষিকার স্বামী নুর হোসেন, স্কুল শিক্ষিকা ও মেয়ে আহত হয়। পরে এলাকাবাসী তাঁদেরকে উদ্ধার করে ডাক্তারে কাছে নিয়ে যায়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে স্কুল শিক্ষিকার স্বামী নুর হোসেন জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১১ সাল থেকে আদালতে মামলা চলে আসছিল। প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ সিনিয়র জর্জ আদালতের রায় আমার পক্ষে হলে ময়মনসিংহ ৩য় যুগ্ম জর্জ আদালতে রানা আল মাসুদ আপীলে করে। আপীলে না পেয়ে পুনঃবিবেচনার আপীল করে। সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্টে আপীল করলে ১১৮৪/২০১৯ নং আপীলে আদালত রায় আমার পক্ষে আসে। সর্বশেষ মাহামান্য হাইকোর্টের রায় প্রাপ্ত হয়ে উক্ত ভূমির মালিক এবং ভূমিতে আমার দখলে বিদ্যমান রয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. মোহাইমিনুল ইসলাম শামীম বলেন, নূর হোসেনের পিতার সঙ্গে আমার পিতা একটি এওয়াজ বদল দলিল করেন। পরে তাঁদের জমি বুঝে নিলেও আমার পিতারটা বুঝিয়ে না দিয়েই নূর হোসেনের পিতা মারা যান। এরপর আমরা আমাদের জমির দখল চাইলে উল্টো আমাদের মারধর করতে আসে। শুক্রবার বিকেলে আমাদের পাওনা জমি বুঝিয়ে দিতে বললে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করে নূর হোসেন। একপর্যায়ে আমাকে মারধর করতে উদ্বুদ্ধ হলে স্থানীয় লোকজন এসে আমাকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যায়।

এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান (পিপিএম) জানান, দুই পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আদালতের রায়ের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।